শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে বাড়ি ফিরছে দেশের নানা প্রান্তে থাকা কর্মজীবী মানুষ। সড়ক, রেল ও নৌপথে যাত্রীরা বাড়ি ফিরছেন। ভিড় করছেন বিভিন্ন টার্মিনাল ও স্টেশনে। লঞ্চ, স্টিমার, বাস ও ট্রেনগুলো যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। অনেকে আকাশপথেও বাড়ি ফিরছেন।
আজ শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানী ত্যাগ করতে বিভিন্ন স্টেশন ও বন্দরে ব্যাপক ভিড় দেখা যাচ্ছে। ঈদের বাকি আর মাত্র তিনদিন। তাই সবারই তাড়া বাড়ি ফেরার।
গাবতলী বাস টার্মিনালে গতকাল দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন পরিবহনের বাসের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীর সংখ্যা বেড়েই চলছিল। কারণ তুমুল বৃষ্টিতে বাইপাইল, সাভারসহ বিভিন্ন স্থানে তীব্র যানজটে ফিরতি বাস আটকে ছিল। আজ শুক্রবার সকালেও দেখা গেছে ব্যাপক ভিড়।
এর পরও গতকাল প্রবল বৃষ্টি মাথায় করেই রাজধানীর সব বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঈদে বাড়ি ফেরা যাত্রীর ঢল নামে। ঈদুল আজহার আগে সর্বশেষ কর্মদিবস শেষে গতকাল বিকেল থেকে এই ভিড় ছিল উপচে পড়া। অপেক্ষার প্রহর গুনে, প্রচণ্ড ভিড় ঠেলে বাসে, ট্রেনে উঠতে হয়েছে বাড়ি ফেরা মানুষকে। সদরঘাটে রাতের লঞ্চ ধরতে ভিড় উপচে পড়ছিল বিকেল থেকেই।
বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেলস্টেশনে যেতে বাসা থেকে রওনা হয়ে মিরপুর-১, মিরপুর-১২, পল্লবী, কালশী, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে প্রচণ্ড যানজটে আটকা পড়ে যাত্রীরা। অনেকে গণপরিবহন না পেয়ে হেঁটেই গন্তব্যে ছুটতে থাকে। গতকাল দুপুর আড়াইটায় টেকনিক্যাল মোড়ে বৃষ্টিতে ভিজেই গন্তব্যে ছুটছিলেন নাবিল আহমেদ। তিনি জানালেন, পটুয়াখালী যাওয়ার বাস ছাড়বে ৩টায়। এর আগেই পৌঁছতে হবে টার্মিনালে। মহাখালী, সায়েদাবাদ ও ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড় ক্রমে বাড়তে থাকে। এসব টার্মিনালে পৌঁছতে যাত্রীদের রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয় বৈরী আবহাওয়ার সঙ্গে।